কবি ও কবিতা

আমাদের প্রিয় কিছু কবিতা নিয়ে এই ব্লগটি। আপনার পছন্দের কবিদের নাম ও তাদের কবিতা থাকলে বলতে পারেন। আমরা চেষ্টা করবো তা সংগ্রহ করার জন্য। ধন্যবাদ।

266 thoughts on “কবি ও কবিতা

  1. অপূর্ব ! এমন একটি ব্লগ আছে সেটি আপনি আমার ব্লগে কমেন্ট না করলে অজানাই থেকে যেত। একরাশ শুভেচ্ছা এমন ব্লগের জন্য।

  2. kobitar khata !!!!!!! uh odvut bapar,,,,, kobitar khata khuje pe khub valo lagchhe…….,,,,chhoto balie ek kobita pore chhi …….tumi jabe vai jabe mor sathe amader chhoto gai …………lotai patai….udasi boner …………kobitar nam ,kobir nam vule gechhi ……jodi keo aie kobitar sondhan pan tahole akhaene post korben please……….suvo kamona thaklo j aie kobitar khata khulechhen……

  3. রুমা আপু, আপনি যে কবিতাটির কথা বলছেন তা পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের “নিমন্ত্রণ” । কবিতাটি পোস্ট করলাম। ধন্যবাদ, আমরা এই ব্লগটি চালু করেছিলাম কবিতাকে ভালোবেসে। আপনাদের কমেন্ট আমাদের অনেক অনুপ্রেরণা দেয়। ব্লগটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, তাহলে নতুন কবিতা পোস্ট হওয়ার সাথে সাথে ই-মেইলে পেয়ে যাবেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

    • আসলে এই ব্লগটা করা হয়েছিল কবিতাকে ভালোবেসেই। কিন্তু বর্তমানে আমরা যারা এডমিন আছি জীবনের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে সময় দিতে পারছিনা। কিন্তু তাতে আমাদের কবিতার প্রতি প্রেম এতটুকু কমেনি। খুব শীঘ্রই পুরো সাইটটাকে আরো উন্নত করব। আপনাদের কমেন্টগুলো পড়ে অনেক অনুপ্রেরণা পাই। আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।

  4. “ami nahoy mitthe chilem tumi keno sotti hole nako
    ami na hoy korechi bhul tomar dike bhanglo keno sako”
    “আমি নাহয় মিথ্যে ছিলাম তুমি কেন সত্যি হলে নাকো
    আমি নাহয় করেছি ভুল তোমার দিকে ভাঙ্গলো কেন সাকো”
    plz amake pura kobitata send korte parben.ami sudhu jani eta moyukh choudhury r kobita nam janina.

  5. অ্যাডমিন ভাইকে আমার একটা অনুরোধ ছিল। আপনি যদি নতুন একটা পেজ খুলতেন “সাবমিট বাংলা কবিতা” বা এই ধরনের কোন নাম দিয়ে, তাহলে আমাদের মত কবিতা পড়ুয়ারা তাদের পছন্দের কবিতা অ্যাড করতে পারত। আমার একটা পছন্দের কবিতা আমি অ্যাড করলাম। ধন্যবাদ। 😉

    লিচু চোর
    কাজী নজরুল ইসলাম

    বাবুদের তাল-পুকুরে
    হাবুদের ডাল-কুকুরে
    সে কি বাস করলে তাড়া,
    বলি থাম একটু দাড়া।

    পুকুরের ঐ কাছে না
    লিচুর এক গাছ আছে না
    হোথা না আস্তে গিয়ে
    য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
    গাছে গো যেই চড়েছি
    ছোট এক ডাল ধরেছি,

    ও বাবা মড়াত করে
    পড়েছি সরাত জোরে।
    পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
    সে ছিল গাছের আড়েই।
    ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,
    ধুমাধুম গোটা দুচ্চার
    দিলে খুব কিল ও ঘুষি
    একদম জোরসে ঠুসি।

    আমিও বাগিয়ে থাপড়
    দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়
    লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,
    দেখি এক ভিটরে শেয়াল!

    সেকি ভাই যায় রে ভুলা-
    মালীর ঐ পিটুনিগুলা!
    কি বলিস ফের হপ্তা!
    তৌবা-নাক খপ্তা!

  6. @Himel Bishwajit, আপনার অনুরোধের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার কবিতাটি পোস্ট করা হয়েছে। “প্রিয়কবিতা”র সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। 😉

  7. বাঙালি জাতি ভাবালুতায় বাস করে (নিন্দুক কহে)
    আমরা যদি ফ্যান্টাসি জগতে না থেকে বেশী বাস্তবমুখি হতাম তাহলে তোমরা পৃথিবী শাসন করতে পারতে না, আমরা কবিতা ভালবাসি, পড়ি, হৃদয়ঙ্গম করি, আমারা আমাদের কবি, কবিতা এবং পাথকদের জন্য গর্বিত…

  8. কবিতা আমার অনেক ভাল লাগে।আজকে মনটা অনেক খারাপ ছিল কিন্ত অসাধারন কিছু কবিতা পড়ে মন ভাল হয়ে গেল। আপনাদের সংগ্রহ খুব ভাল লেগেছে।আর আপনারা যদি কিছু আবৃত্তি দেন তাহলে আরও ভাল লাগত।।ধন্যবাদ

  9. Hi Everybody!

    Though I don’t understand a word in Bengali, I chance this blog by accident because I am looking for a verse in Bengali that was written by রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর and was in the collection translated as “Stray Birds.” The verse I am looking for is indexed in the collection as Number 15. It reads in English something like this: “Do not seat your love upon a precipice because it is high.”

    My problem is to resolve the reference of “it” in this verse. Does “it” refer to “your love” or to “a precipice”? I guess this problem is only possible to resolve if one reads the original verse in Bengali.

    Could নিশাচর or anyone else please help me finding out the verse and tell me what “it” refers to?

    Please forgive my intrusion at yours, but your help would be very much appreciated. Thank you very much in advance. And I wish you all the best!

    Sincerely yours,
    Wenjer H. Leuschel

      • Thank you for the information, নিশাচর!

        There is an entry in The Project Gutenberg eBook saying that “Stray Birds” was “translated from Bengali to English by the author.” That was why I was asking. Well, if it was not written in Bengali, then there is no way to make sure what the “it” irefers to.

        Thanks, anyway. Have nice evening!

        P.S. About 20 years ago, I got acquainted with some students from Bangladesh in Germany. I learned your music through those students and like the music very much. I wish I had learned your language.

      • Someone gave me a sentence like the following and told me that this could well be the verse I am asking:

        কখনই আপনার ভালোবাসা কে একটি অতট এর উপর আসন্য করবেন না কারন ইহা উচ্চ ।

        What do you think about the above sentense? Does it make sense?

  10. rat ta udash chilo
    ek cup cha
    ekta shada pata
    r orthohin kichu chobi aka

    chondopoton hin binidro rojoni
    binoyi tar nilima
    shuktarata ajke tai ekdom lukoi na

    mone pore shei purono golpo
    snehomoyee ek tonoya
    r robindronather shei birpurush

    r ek cup cha
    ek polok dui polok
    ki bhishon ondho ek prem
    ekrash bhalo laga
    aj tonoyar prothom bhalo basha.

  11. রবীন্দ্রনাথ
    -আল মাহমুদ

    এ কেমন অন্ধকার বঙ্গদেশ উথ্থান রহিত
    নৈশব্দের মন্ত্রে যেন ডালে আর পাখিও বসে না ।
    নদীগুলো দুঃখময়, নির্পতগ মাটিতে জন্মায়
    কেবল ব্যাঙের ছাতা, অন্যকোন শ্যামলতা নেই ।

    বুঝি না, রবীন্দ্রনাথ কী ভেবে যে বাংলাদেশে ফের
    বৃক্ষ হয়ে জন্মাবার অসম্ভব বসনা রাখতেন ।
    গাছ নেই নদী নেই অপুস্পক সময় বইছে
    পুনর্জন্ম নেই আর, জন্মের বিরুদ্ধে সবাই

    শুনুন রবীন্দ্রনাথ, আপনার সমস্ত কবিতা
    আমি যদি পুঁতে রেখে দিনরাত পানি ঢালতে থাকি
    নিশ্চিত বিশ্বাস এই, একটিও উদ্ভিদ হবে না
    আপনার বাংলাদেশ এ রকম নিস্ফলা, ঠাকুর !

    অবিশ্বস্ত হাওয়া আছে, নেই কোন শব্দের দ্যোতনা,
    দু’একটা পাখি শুধু অশথের ডালে বসে আজও
    সঙ্গিতের ধ্বনি নিয়ে ভয়ে ভয়ে বাক্যালাপ করে;
    বৃষ্টিহীন বোশেখের নিঃশব্দ পঁচিশ তারিখে ।

  12. সোনালী কাবিন
    – আল মাহমুদ


    সোনার দিনার নেই, দেনমোহর চেয়ো না হরিনী
    যদি নাও, দিতে পারি কাবিনবিহীন হাত দু’টি,
    আত্মবিক্রয়ের স্বর্ণ কোনকালে সঞ্চয় করিনি
    আহত বিক্ষত করে চারদিকে চতুর ভ্রুকুটি;
    ভালোবাসা দাও যদি আমি দেব আমার চুম্ব্ন,
    ছলনা জানিনা বলে আর কোন ব্যবসা শিখিনি;
    দেহ দিলে দেহ পাবে, দেহের অধিক মূলধন
    আমার তো নেই সখি, যেই পণ্যে অলঙ্কার কিনি ।
    বিবসন হও যদি দেখতে পাবে আমাকে সরল
    পৌরুষ আবৃত করে জলপাইর পাতাও থাকবে না;
    তুমি যদি খাও তবে আমাকেও দিও সেই ফল
    জ্ঞানে ও অজ্ঞানে দোঁহে পরস্পর হব চিরচেনা
    পরাজিত নই নারী, পরাজিত হয়না কবিরা;
    দারুণ আহত বটে আর্ত আজ শিরা-উপশিরা ।


    হাত বেয়ে উঠে এসো হে পানোখী, পাটিতে আমার
    এবার গোটাও ফণা কালো লেখা লিখো না হৃদয়ে;
    প্রবল ছোবলে তুমি যতটুকু ঢালো অন্ধকার
    তার চেয়ে নীল আমি অহরহ দংশনের ভয়ে ।
    এ কোন কলার ছলে ধরে আছো নীলাম্বর শাড়ি
    দরবিগলিত হয়ে ছলকে যায় রাত্রির বরণ,
    মনে হয় ডাক দিলে সে-তিমিরে ঝাঁপ দিতে পারি
    আচঁল বিছিয়ে যদি তুলে নাও আমার মরণ ।
    বুকের ওপরে মৃদু কম্পমান নখবিলেখনে
    লিখতে কি দেবে নাম অনুজ্জ্বল উপাধিবিহীন ?
    শরমিন্দা হলে তুমি ক্ষান্তিহীন সজল চুম্বনে
    মুছে দেবো আদ্যক্ষর রক্তবর্ণ অনার্য প্রাচীন ।
    বাঙালী কৌমের কেলি কল্লোলিত কর কলাবতী
    জানতো না যা বাৎ‌সায়ন, আর যত আর্যের যুবতী ।


    ঘুরিয়ে গলার বাঁক ওঠো বুনো হংসিনী আমার
    পালক উদাম করে দাও উষ্ণ অঙ্গের আরাম,
    নিসর্গ নমিত করে যায় দিন, পুলকের দ্বার
    মুক্ত করে দেবে এই শব্দবিদ কোবিদের নাম ।
    কক্কর শব্দের শর আরণ্যক আত্মার আদেশ
    আঠারোটি ডাক দেয় কান পেতে শোনো অষ্টাদশী,
    আঙুলে লুলিত করো বন্ধবেণী, সাপিনী বিশেষ
    সুনীল চাদরে এসো দুই তৃষ্ণা নগ্ন হয়ে বসি ।
    ক্ষুধার্ত নদীর মতো তীব্র দু’টি জলের আওয়াজে-
    তুলে মিশে যাই চলো অকর্ষিত উপত্যকায়,
    চরের মাটির মতো খুলে দাও শরীরের ভাঁজ
    উগোল মাছের মাংস তৃপ্ত হোক তোমার কাদায়,
    ঠোঁটের এ-লাক্ষারসে সিক্ত করে নর্ম কারুকাজ
    দ্রুত ডুবে যাই এসো ঘূর্ণমান রক্তের ধাঁধায় ।


    এ-তীর্থে আসবে যদি ধীরে অতি পা ফেলো সুন্দরী,
    মুকুন্দরামের রক্ত মিশে আছে এ-মাটির গায়,
    ছিন্ন তালপত্র ধরে এসো সেই গ্রন্থ পাঠ করি
    কত অশ্রু লেগে আছে এই জীর্ণ তালের পাতায় ।
    কবির কামনা হয়ে আসবে কি, হে বন্য বালিকা
    অভাবে অজগর জেনো তবে আমার টোটেম,
    সতেজ খুনের মতো এঁকে দেবো হিঙ্গুলের টিকা
    তোমার কপালে লাল, আর দীন-দরিদ্রের প্রেম ।
    সে-কোন গোত্রের মন্ত্রে বলো বধূ তোমাকে বরণ
    করে এই ঘরে তুলি ? আমার তো কপিলে বিশ্বাস,
    প্রেম কবে নিয়েছিল ধর্ম কিংবা সংঘের শরণ্ ?
    মরণের পরে শুধু ফিরে আসে কবরের ঘাস ।
    যতক্ষণ ধরো এই তাম্রবর্ণ অঙ্গের গড়ন
    তারপর কিছু নেই, তারপর হাসে ইতিহাস ।


    আমার ঘরের পাশে ফেটেছে কি কার্পাশের ফল্ ?
    গলায় গুঞ্জার মালা পরো বালা, প্রাণের শবরী,
    কোথায় রেখেছো বলো মহুয়ার মাটির বোতল
    নিয়ে এসো চন্দ্রলোকে তৃপ্ত হয়ে আচমন করি ।
    ব্যাধের আদিম সাজে কে বলে তোমাকে চিনবো না
    নিষাদ কি কোনদিন পক্ষিণীর গোত্র ভুল করে ?
    প্রকৃতির ছদ্মবেশ যে-মন্ত্রেই খুলে দেন খনা
    একই জাদু আছে জেনো কবিদের আত্মার ভিতরে ।
    নিসর্গের গ্রন্থ থেকে, আশৈশব শিখেছি এ-পড়া
    প্রেমকেও ভেদ করে সর্বভেদী সবুজের মূল,
    চিরস্থায়ী লোকালয় কোনো যুগে হয়নি তো গড়া
    পারেনি ঈজিপ্ট, গ্রীস, সেরাসিন শিল্পির আঙুল ।
    কালের রেঁদার টানে সর্বশিল্প করে থর থর
    কষ্টকর তার চেয়ে নয় মেয়ে কবির অধর ।


    মাৎ‌স্যন্যায়ে সায় নেই, আমি কৌম সমাজের লোক
    সরল সাম্যের ধ্বনি তুলি নারী তোমার নগরে,
    কোনো সামন্তের নামে কোনদিন রচিনি শোলোক
    শোষকের খাড়া ঝোলে এই নগ্ন মস্তকের ‘পরে ।
    পূর্ব পুরুষেরা কবে ছিলো কোন সম্রাটের দাস
    বিবেক বিক্রয় করে বানাতেন বাক্যের খোয়াড়,
    সেই অপবাদে আজও ফুঁসে ওঠে বঙ্গের বাতাস ।
    মুখ ঢাকে আলাওল – রোসাঙ্গের অশ্বের সোয়ার ।
    এর চেয়ে ভলো নয় হয়ে যাওয়া দরিদ্র বাউল ?
    আরশি নগরে খোঁজা বাস করে পড়শী যে জন
    আমার মাথায় আজ চূড়ো করে বেঁধে দাও চুল
    তুমি হও একতারা, আমি এক তরুণ লালন,
    অবাঞ্ছিত ভক্তিরসে এ যাবৎ‌ করেছি যে ভুল
    সব শুদ্ধ করে নিয়ে তুলি নব্য কথার কূজন ।


    হারিয়ে কানের সোনা এ-বিপাকে কাঁদো কি কাতরা ?
    বাইরে দারুণ ঝড়ে নুয়ে পড়ে আনাজের ডাল,
    তস্করের হাত থেকে জেয়র কি পাওয়া যায় ত্বরা-
    সে কানেট পরে আছে হয়তো বা চোরের ছিনাল !
    পোকায় ধরেছে আজ এ দেশের ললিত বিবেকে
    মগজ বিকিয়ে দিয়ে পরিতৃপ্ত পণ্ডিত সমাজ ।
    ভদ্রতার আবরণে কতদিন রাখা যায় ঢেকে
    যখন আত্মায় কাঁদে কোনো দ্রোহী কবিতার কাজ ?
    ভেঙো না হাতের চুড়ি, ভরে দেবো কানের ছেঁদুর
    এখনো আমার ঘরে পাওয়া যাবে চন্দনের শলা,
    ধ্রুপদের আলাপনে অকস্মাৎ‌ ধরেছি খেউড়
    ক্ষমা করো হে অবলা, ক্ষিপ্ত এই কোকিলের গলা ।
    তোমার দুধের বাটি খেয়ে যাবে সোনার মেকুর
    না দেখার ভান করে কতকাল দেখবে, চঞ্চলা ?


    অঘোর ঘুমের মধ্যে ছুঁয়ে গেছে মনসার কাল
    লোহার বাসরে সতী কোন ফাঁকে ঢুকেছে নাগিনী,
    আর কোনদিন বলো দেখবো কি নতুন সকাল ?
    উষ্ণতার অধীশ্বর যে গোলক ওঠে প্রতিদিনই ।
    বিষের আতপে নীল প্রাণাধার করে থরো থরো
    আমারে উঠিয়ে নাও হে বেহুলা, শরীরে তোমার,
    প্রবল বাহুতে বেঁধে এ-গতর ধরো, সতী ধরো,
    তোমার ভাসানে শোবে দেবদ্রোহী ভাটির কুমার ।
    কুটিল কালের বিষে প্রাণ যদি শেষ হয়ে আসে,
    কুন্তল এলিয়ে কন্যা শুরু করো রোদন পরম ।
    মৃত্যুর পিঞ্জর ভেঙে প্রাণপাখি ফিরুক তরাসে
    জীবনের স্পর্ধা দেখে নত হোক প্রাণাহরী যম্,
    বসন বিদায় করে নেচে ওঠো মরণের পাশে
    নিটোল তোমার মুদ্রা পাল্টে দিক বাঁচার নিয়ম ।


    যে বংশের ধারা বেয়ে শ্যাম শোভা ধরেছো, মনিনী
    একদা তারাই জেনো গড়েছিলো পুণ্ড্রের নগর
    মাটির আহার হয়ে গেছে সব, অথচ জনিনি
    কাজল জাতির রক্ত পান করে বটের শিকড় ।
    আমারও আবাস জেনো লোহিতাভ মৃত্তিকার দেশে
    পূর্ব পুরুষেরা ছিলো পাট্টীকেরা পুরীর গৌরব,
    রাক্ষসী গুল্মের ঢেউ সবকিছু গ্রাস করে এসে
    ঝিঁঝির চিৎ‌কারে বাজে অমিতাভ গৌতমের স্তব ।
    অতীতে যাদের ভয়ে বিভেদের বৈদিক আগুন
    করতোয়া পার হয়ে এক কঞ্চি এগোতো না আর,
    তাদের ঘরের ভিতে ধরেছে কি কৌটিল্যের ঘুণ ?
    ললিত সাম্যের ধ্বনি ব্যর্থ হয়ে যায় বার বার :
    বর্গীরা লুটছে ধান নিম খুনে ভরে জনপদ
    তোমার চেয়েও বড়ো হে শ্যামাঙ্গী, শস্যের বিপদ ।

    ১০
    শ্রমিক সাম্যের মন্ত্রে কিরাতের উঠিয়াছে হাত
    হিয়েনসাঙের দেশে শান্তি নামে দেখো প্রিয়তমা,
    এশিয়ায় যারা আনে কর্মজীবী সাম্যের দাওয়াত
    তাদের পোশাকে এসো এঁটে দিই বীরের তকোমা ।
    আমাদের ধর্ম হোক ফসলের সুষম বণ্টন,
    পরম স্বস্তির মন্ত্রে গেয়ে ওঠো শ্রেণীর উচ্ছেদ,
    এমন প্রেমের বাক্য সাহসিনী করো উচ্চারণ
    যেন না ঢুকতে পারে লোকধর্মে আর ভেদাভেদ ।
    তারপর তুলতে চাও কামের প্রসঙ্গ যদি নারী
    ক্ষেতের আড়ালে এসে নগ্ন করো যৌবন জরদ,
    শস্যের সপক্ষে থেকে যতটুকু অনুরাগ পারি
    তারো বেশি ঢেলে দেবো আন্তরিক রতির দরদ,
    সলাজ সাহস নিয়ে ধরে আছি পট্টময় শাড়ি
    সুকণ্ঠি কবুল করো, এ অধমই তোমার মরদ ।

    ১১
    আবাল্য শুনেছি মেয়ে বাংলাদেশ জ্ঞানীর আতুড়
    অধীর বৃষ্টির মাঝে জন্ম নেন শত মহীরূহ,
    জ্ঞানের প্রকোষ্ঠে দেখো, ঝোলে আজ বিষণ্ণ বাদুড়
    অতীতে বিশ্বাস রাখা হে সুশীলা, কেমন দুরূহ ?
    কী করে মানবো বলো, শ্রীজ্ঞানের জন্মভুমি এই
    শীলভদ্র নিয়েছিলো নিঃশ্বাসের প্রথম বাতাস,
    অতীতকে বাদ দিলে আজ তার কোনো কিছু নেই
    বিদ্যালয়ে কেশে ওঠে গুটিকয় সিনানথ্রোপাস ।
    প্রস্তর যুগের এই সর্বশেষ উল্লাসের মাঝে
    কোথায় পালাবে বলো, কোন ঝোপে লুকোবে বিহ্বলা ?
    স্বাধীন মৃগের বর্ণ তোমারও শরীরে বিরাজে
    যখন আড়াল থেকে ছুটে আসে পাথরের ফলা,
    আমাদের কলাকেন্দ্রে, আমাদের সর্ব কারুকাজে
    অস্তিবাদী জিরাফেরা বাড়িয়েছে ব্যক্তিগত গলা ।

    ১২
    নদীর সিকস্তী কোনো গ্রামাঞ্চলে মধ্যরাতে কেউ
    যেমন শুনতে পেলে অকস্মাৎ‌ জলের জোয়ার,
    হাতড়ে তালাশ করে সঙ্গিনীকে, আছে কিনা সেও
    যে নারী উন্মুক্ত করে তার ধন-ধান্যের দুয়ার ।
    অন্ধ আতঙ্কের রাতে ধরো ভদ্রে, আমার এ-হাত
    তোমার শরীরে যদি থেকে থাকে শস্যের সুবাস,
    খোরাকির শত্রু আনে যত হিংস্র লোভের আঘাত
    আমরা ফিরাবো সেই খাদ্যলোভী রাহুর তরাস ।
    নদীর চরের প্রতি জলে-খাওয়া ডাঙার কিষাণ
    যেমন প্রতিষ্ঠা করে বাজখাই অধিকার তার,
    তোমার মস্তকে তেমনি তুলে আছি ন্যায়ের নিশান
    দয়া ও দাবিতে দৃঢ় দীপ্তবর্ণ পতাকা আমার ;
    ফাটানো বিদ্যুতে আজ দেখো চেয়ে কাঁপছে ঈশান
    ঝড়ের কসম খেয়ে বলো নারী, বলো তুমি কার ?

    ১৩
    লোবানের গন্ধে লাল চোখ দুটি খোলো রূপবতী
    আমার নিঃশ্বাসে কাঁপে নক্‌‌শাকাটা বস্ত্রের দুকূল ?
    শরমে আনত কবে হয়েছিল বনে কপোতী ?
    যেন বা কাঁপছো আজ ঝড়ে পাওয়া বেতসের মূল ?
    বাতাসে ভেঙেছে খোঁপা, মুখ তোলো হে দেখনহাসি
    তোমার টিক্‌‌লি হয়ে হৃদপিণ্ড নড়ে দুরু দুরু
    মঙ্গলকুলোয় ধান্য ধরে আছে সারা গ্রামবাসী
    উঠোনে বিন্নীর খই, বিছানায় আতর, অগুরু ।
    শুভ এই ধানদূর্বা শিরোধার্য করে মহিয়সী
    আবরু আলগা করে বাঁধো ফের চুলের স্তবক,
    চৌকাঠ ধরেছে এসে ননদীরা তোমার বয়সী
    সমানত হয়ে শোনো সংসারের প্রথম সবক
    বধূবরণের নামে দাঁড়িয়েছে মহামাতৃকুল
    গাঙের ঢেউয়ের মতো বলো কন্যা কবুল, কবুল ।

    ১৪
    বৃষ্টির দোহাই বিবি, তিলবর্ণ ধানের দোহাই
    দোহাই মাছ-মাংস দুগ্ধবতী হালাল পশুর,
    লাঙল জোয়াল কাস্তে বায়ুভরা পালের দোহাই
    হৃদয়ের ধর্ম নিয়ে কোন কবি করে না কসুর ।
    কথার খেলাপ করে আমি যদি জবান নাপাক
    কোনদিন করি তবে হয়ো তুমি বিদ্যুতের ফলা,
    এ-বক্ষ বিদীর্ণ করে নামে যেন তোমার তালাক
    নাদানের রোজগারে না উঠিও আমিষের নলা ।
    রাতের নদীতে ভাসা পানিউড়ী পাখির ছতরে,
    শিষ্ট ঢেউয়ের পাল যে কিসিমে ভঙে ছল ছল
    আমার চুম্বন রাশি ক্রমাগত তোমার গতরে
    ঢেলে দেবো চিরদিন মুক্ত করে লজ্জার আগল
    এর ব্যতিক্রমে বানু এ-মস্তকে নামুক লান
    ভাষার শপথ আর প্রেমময় কাব্যের শপথ ।

    • কবি আল মাহামুদ ,তোমায় ও তমার কবিতাকে এতো ভালবাসি টা বঝাতে পারবোনা ।জানি তোমাকে কখনই সামনে পাবোনা ,কন্তু তমার সৃতি নিয়েই আজীবন বেছে থাকব

  13. নিদ্রিতা মায়ের নাম
    – আল মাহমুদ

    তাড়িত দুঃখের মতো চতুর্দিকে স্মৃতির মিছিল
    রক্তাক্ত বন্ধুদের মুখ, উত্তেজিত হাতের টঙ্কারে
    তীরের ফলার মত
    নিক্ষিপ্ত ভাষার চিৎ‌কার :
    বাঙলা বাঙলা-
    কে নিদ্রামগ্ন আমার মায়ের নাম উচ্চারণ করো ?

    জানালায় মুখ রেখে চকিতে দেখলাম
    উদয়ের প্রন্তদেশে ভেসে ওঠে কালের কহ্লার
    আর সমস্ত রাজপথে ফেব্রুয়ারির নিঃশঙ্ক পাখির আওয়াজ
    রক্তাভ ফুলের মতো আমার সঙ্গীতজ্ঞ ভাইদের মুখাবয়ব ।
    বাঙলা… বাঙলা…
    আমার নিদ্রিতা মায়ের নাম ইতস্তত উচ্চারিত হলো ।

  14. ধৈর্য
    – আল মাহমুদ
    ধৈর্য ধরে থেকেছি বহুকাল
    খ্যাতির ধাপে উঠল বুঝি পা,
    ভিতর থেকে বিমুখ মহাকাল
    বললো, নারে, এখনো নয়, না ।

    ধৈর্য ধরে থেকেছি বহুদিন
    ভেবেছি এই বাজবে হাততালি ;
    ধৈর্য শুধু বাজলো রিনরিন
    ভুরুর নিচে জমালো ঝুলকালি ।

    ধৈর্য ধরে থেকেছি কত মাস
    ওষ্ঠে বুঝি নামল করো ঠোঁট,
    ধৈর্য কত কাঁপালো নিঃশ্বাস
    ঠোঁটের পাশে রক্ত মাখা চোট ।

    ধৈর্য নিয়ে কেটেছে কত রাত
    আঙুল কেউ ঠুকবে জানালায়,
    অন্ধকার করলো করাঘাত
    অন্ধকারই টানলো বিছনায় ।

    ধৈর্য নিয়ে ভাবছি আজকাল
    নামবো নাকি ধৈর্যহীনতায় ?
    ধৈর্য যেন আমলকির ডাল
    ঝড়ের তোড়ে কাঁপছে দীনতায় ।

  15. অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ
    -জীবনানন্দ দাশ

    অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ,
    যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা;
    যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই- প্রীতি নাই- করুণার আলোড়ন নেই
    পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।
    যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি
    এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক ব’লে মনে হয়
    মহত্‍‌ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
    শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।

  16. ami akti kobita online o google onek khujechi but paini.can Anybody help me. Kobitatir kisu line likhe dilam
    “jokhon giyeche dube ponchomir chad moribar holo tar shad
    bodhu suye chilo pase sisu tio silo
    prem silo asa chilo josna-e tobu se dekhilo kon bhut ghum keno venge gelo tar”

  17. কে যেন বলেছিল,
    “করিতে পরি না কাজ
    সদা ভয় সদা লাজ,
    সংশয়ে সংকল্প সদা টলে ,
    পাছে লোকে কিছু বলে ।”

    আর আমি বলি,
    “কর কাজ মনো দিয়া বল
    করিবে লাজ পাইবেনা ফল,
    উচ্চ সংকল্পে বাড়িবে তোমার মান,
    কি লাভ অসভ্য মনুষ্যের কথায় দিয়া কান?”

  18. আমি বড় কোন কবিতাপ্রেমী নই। কবিতা বোদ্ধা তো নইই। তবুও ছোট বেলা থেকে যে একটু আধটু কবিতার পেছনে দৌড়ানোর অভ্যাস ছিল, সে ক্ষেত্রে এ ব্লগটিকে নিঃসঙ্কোচে ভালোবাসা যায়।

  19. তিনি বললেন ভাইসব অমনি গাছেরা সব সারি বেধে খাড়া হয়ে গেল….(আল মাহমুদ)
    … বাংলা আমার কি চমৎকার হয়ে উঠল বাংলাস্থান- হুমায়ূন আজাদ
    আম্বুলেন্স ও কবি- নির্মলেন্দু গুণ
    কবিতাগুলো কারো কাছে আছে কি?

    • আমার চোখের সামনে

      হুমায়ুন আজাদ

      আমার চোখের সামনে প’চে গ’লে নষ্ট হলো কতো শব্দ,
      কিংবদন্তি, আদর্শ, বিশ্বাস । কতো রঙিন গোলাপ
      কখনোবা ধীরে ধীরে, কখনো অত্যন্ত দ্রুত, পরিণত হলো ,নোংরা আবর্জনায়।
      আমার বাল্যে “বিপ্লব” শব্দটি প্রগতির উথ্থান বোঝাতো ।
      যৌবনে পা দিতে- না-দিতেই দেখলাম শব্দটি প’চে যাচ্ছে-
      ষড়যন্ত্র, বুটের আওয়াজ,পেছনের দরোজা দিয়ে ,প্রতিক্রিয়ার প্রবেশ বোঝাচ্ছে।

      “ সংঘ” শব্দটি গত এক দশকেই কেমন অশ্লীল হয়ে উঠেছে ।
      এখন সংঘবদ্ধ দেখি নষ্টদের, ঘাতক ডাকাত ভন্ড আর
      প্রতারকেরাই উদ্দীপনাভরে নিচ্ছে সংঘের শরণ । যারা
      মানবিক, তারা কেমন নিঃসঙ্গ আর নিঃসংঘ ও
      অসহায় উঠছে দিনদিন ।
      আমার চোখর সামনে শহরের সবচেয়ে রূপসী মেয়েটি
      প্রথমে অভিনেত্রী, তারপর রক্ষিতা, অবশেষে
      বিখ্যাত পতিতা হয়ে উঠলো ।

      এক দশকে যেতে- না যেতেই আমি দেখলাম
      বাঙলার দিকে দিকে একদা মাথা- ছোঁয়া মুক্তিযোদ্ধারা
      কী চমৎকার হয়ে উঠলো রাজাকার ।

      আর আমার চোখের সামনেই রক্তের দাগ – লাগা সবুজ রঙের
      বাঙলাদেশ দিন দিন হয়ে উঠলো বাঙলাস্তান ।

  20. বাংলা কবিতাকে উপস্থাপনের সুন্দর উদ্যোগ!! তবে ফররুখ আহমেদ ও কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা নেই বললেই চলে!!! ফররুখ আহমেদের সকল কবিতা চাই। আর নজরুলের ‘ভয় নাহি নাহি ভয়’ ও ‘উমর ফারুক’ (পুরো, সংক্ষেপিত নয়) কবিতাদুটি বহুদিন যাবত খুজতেছি। সম্ভব হলে আপলোড করুন, প্লিজ। আবার বলছি, ফররুখ আহমেদের সকল কবিতা চাই।

  21. “সবদার ডাক্তার” কবিতা টা খুজে পাচ্ছি না। এডমিন আমাকে সাহায্য করতে পারবেন কবিতা টা খুজতে?

  22. অসাধারন প্রয়াস। খুব ভালো লাগলো। আমি পশ্চিমবঙ্গের একজন কবি। চর্যাপদ বলে একটি কবিতা পত্রিকা সম্পাদনা করি। আমার সদ্য প্রকাশিত বইটি থেকে কয়েকটি কবিতা কি এখানে পোস্ট করা যেতে পারে ? জানালে বাধিত হই।

    • কাজী নজরুলকে বেশি বেশি প্রাধান্য দিবেন ,এবং তাঁর কবিতা বেশি বেশি পোস্ট করবেন ,কারন তিনি আমাদের জাতীয় কবি

  23. ” কবি – যতীন্দ্র মোহন বাগচী ‘র সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করা হল। ” – সংগৃহীত
    ____________________________________________________________
    কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী – রবীন্দ্র পরিমণ্ডলের কবিদের মধ্যে অন্যতম |

    ১৮৯৯ সাল থেকে তাঁর কবিতা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে | তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “লেখা”
    (১৯০৬) | অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “রেখা” (১৯১০), “অপরাজিতা” (১৯১৩), “নাগকেশর” (১৯১৭), “বন্ধুর
    দান” (১৯১৭), “জাগরণী” (১৯২২), “নীহারিকা” (১৯২৭), “মহাভারতী” (১৯৩৬) প্রভৃতি | এ ছাড়া রচনা করেছেন
    “পথের সাথী” নামক উপন্যাস এবং “রবীন্দ্রনাথ ও যুগসাহিত্য” (১৯৪৭) নামক স্মৃতিচিত্র |

    রবীন্দ্র সমকালীন অনেক কবির মতোই তাঁর কাব্যের বিষয়বস্তু পল্লীজীবন থেকে সংগৃহিত | পল্লীপ্রকৃতির
    সৌন্দর্য, নাগরিক জীবনের তুলনায় তার সরলতা ও স্বাভাবিকতা, রোম্যান্টিক আদর্শবাদ, মানুষের দুঃখ-দৈন্যের
    জন্য, বিশেষ করে পীড়িতা নারীর জন্য ব্যথা তাঁর কাব্যের মূল প্রেরণা |

    “আধুনিক” কবিসমাজের সঙ্গে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির ঐক্য না থাকলেও, তাঁর প্রকাশভঙ্গির ক্ষেত্রে যে সজীবতা ও
    নতুনত্ব সৃষ্টি করেছিলেন সেখানে তিনি “আধুনিক” কবিদের নিকটবর্তী |

    তাঁর কবিতা “কাজলা দিদি” যা পরে প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে একটি অতি জনপ্রিয় গান হয়ে বাঙালীর
    মনের গভীরে প্রবেশ করেছিল | তাঁর “অপরাজিতা” কবিতাটিও জনপ্রিয় কবিতার মধ্যে অন্যতম |

    — উত্স: ডঃ শিশির কুমার দাশ, সংসদ সাহিত্য সঙ্গী ২০০৩
    উৎসঃ http://www.milansagar.com/
    ___________________________________________________________________________

  24. বেশ ভালো একটা উদ্যোগ; একসাথে অনেকগুলো দারূণ কবিতা পড়ে ফেললঅম।

    কিছু ব্যক্তিগত আবদার: বুদ্ধদেব বসুর ‘দায়িত্বের ভার’, ‘বেশ্যার মৃত্যু’ আর ‘যে আঁধার আলোর অধিক’ কবিতাত্রয়সহ পাঁচ আধুনিকের আরও বেশি কবিতা দেখতে চাই।

    অসংখ্য ধন্যবাদ বিনা আয়েশে চট করে কবিতা পড়ে ফেলার এরকম অসাধারণ একটা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

  25. সাইটটা খুব ভাল লাগলো। তবে এখানে কোন কবিতা খুঁজে পাওয়ার ভাল ব্যাবস্থা নেই। আমি এখানে কোন একটা কবিতা আছে কিনা কিভাবে বুঝবো?
    আর এখানে পাঠকদের কবিতা পোস্ট করার বাবস্থা থাকলে ভাল হত।

  26. কবি “ভাস্কর চক্রবর্তী”র কিছু কবিতা যদি দেওয়া সম্ভব হয়… অন্তত “শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা” আর “আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে” কাব্যগ্রন্থদু’টির কবিতাগুলি………

  27. oshad premi
    আজ আমার চক্ষে শ্রাবণ;
    (না জানা)র ব্যথায় ব্যর্থ জীবন>
    বক্ষপিন্জিরে দুঃখদহন;
    থামলো-থামবে হৃকম্পন>
    জীর্ণমনন-
    মৃত্যুশয়ন।
    prerona 2mi mor tanjina.

  28. আব্দুল মান্নান সৈয়দ
    এর
    অনেক অনেক রাত,
    গনিতের হিসাবে মামুলি মনে হতে পারে

    কবিতটি দয়া করে আপলোড করবেন

  29. বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
    “কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,
    আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
    তুমি কত কষ্ট পাও রোধ, বৃষ্টির, ঝড়ে।”
    বাবুই হাসিয়া কহে, “সন্দেহ কি তাই ?
    কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।
    পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
    নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।

    ei kobita tar writter k???
    please

  30. নতুন নতুন কবিতার সম্ভার পেতে ভিজিট করুন osomaptolekha.wordpress.com আশা করি আমাদের লেখা কবিতা আপনাদের ভাল লাগবে। আপনাদের অপেক্ষায় রইলাম।

  31. কবি সৈকত কুন্ডু , অর্ণা শীল ,শুভ দাশগুপ্ত – এদের কবিতা share করলে উপকৃত হব । আমি একজন eye specialist এবং বাচিক শিল্পী । ধন্যবাাদ সুন্দর সুন্দর কবিতা share করার জন্য । ভাল থাকবেন । 🙂

  32. Ami khub chomok kheyechhi ei blog dekhey.osadhoron ei kobita songrosaala tir jonno “projojok” ke dhonnobaad ebong kurnish.
    ami tripto apatoto.valo lagbey notun notun lekha peley.
    pasha pasha Ekta abadaar o roilo
    parley Amar lekha porey dekhben,valo lagley songroho korben.sahajjo korben amakeo borow hotey..ashirbaad kammyo roilo..

    jai hok priyokobita naam ta jokhon roiloi tokhon kichhu English poem add korlewo bhison khusi hobo …

    http://www.nikhojerkolomtheke.blogspot.com

  33. সাইটটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। এমন একটি সাইট বানানোর খুব ইচ্ছা। পারছি না। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অপশন সমাহার সাইট। ভালো। আপনার কাজের প্রশংসা করছি। ধন্যবাদ।

  34. দাউদ হায়দার এর “একুশের কবিতা” টা কি সংগ্রহ করে দেয়া সম্ভব?
    বইটির নাম মনে নেই তবে কবিতাটার শুরু এরকম-
    “এই ঘাস এই মাটির বুকে আস্তে করে পা ফেলো
    এখানে আমার ভাই বরকত, সালাম, আর আসাদেরা শুয়ে আছে।”

    ধন্যবাদ

  35. আমি একটা কবিতা খুজছি। কবিতা টার নাম মনে নেই, লেখক নিয়েও কনফিউজড। কয়েক্ টা লাইন মনে আছেঃ

    ” নুরু, পুশী, আয়েশা, শফী সবাই এসেছে
    আম বাগীচার তলায় বসে তারা হেসেছে……
    …………………………………………।
    কেউ বা বাটে হলদি মরিচ, কেউ বা বাটে নুন…
    ……………………………হেসেই খুন।”

    ভাসা ভাসা যত টুকু মনে আছে লিখলাম।

    কারো সংগ্রহে থাকে একটু পাঠাবেন, প্লিজ।
    এমাইলঃ shahin1997@gmail.com

  36. নতুন কেউ কবিতা দিতে পারে ? সুযোগ থাকলে জানাবেন দয়া করে ।
    আপনাদের প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবি রাখে , দোয়া করি সফল হোন ।

      • আমার কবিতাটি আপনার কবি ও কবিতা ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করবেন আশা করি।

        একুশের চিঠি
        বেদুইন পথিক
        ************************************
        প্রিয়তম,
        এ জনমে কি
        তোমার ছুটি মিলবে না?
        কিসের মোহে তুমি জলাঞ্জলি দিচ্ছ
        একটি ব্যাকুল হৃদয়ের রোঁদনা?
        তুমি বড় পরপীড়ক,
        তোমার পীড়ন পরবে
        কতো স্বপন যে মাটি খেলো
        আমার, নিষুপ্ত নীরবে।
        এই আসছে ফাগুনে
        আাসবে কিন্তু নিশ্চয়-
        কথার কাননে সাজিয়ে রেখেছি
        আমার ব্যাকুল হৃদয়।

        ওগো প্রিয়তমা,
        শুনেছো কি
        ওদের কথার ছিরি?
        অমন ভাষা কবুল করে
        বল, কেমনে ঘরে ফিরি?

  37. ভাল্লাগল অথচ অনেক চোখে পড়ার মত কবিতা চোখে পড়ল না।জীবনানন্দের পর বাঙলা কবিতায় সময় অতিক্রম করল কে, এটা ভেবে দেখার বিষয় !

  38. “অকালবর্ষা” নামে একটি কবিতা বহুদিন আগে পড়েছিলাম, কিন্তু কবির নাম মনে। আপনারা সংগ্রহ করতে পারলে খুবই ভালো লাগবে…

  39. একটি বাংলা আঞ্চলিক ভাষার (মানভূম) কবিতা। কবি বা কবিতার নাম বলতে পারব না। কিন্তু কবিতাটি একটি ন্যালাখ্যাপা ছেলের বিয়ে ও তৎপরবর্তী সমস্যাসংক্রান্ত। যদি হদিশ পাওয়া যায় —-

  40. আমি ফ্রান্সের ভিশি শহরে (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন রাজধানী) থাকি। নেশায় একজন লেখক আর পেশায় সাংবাদিক। আজ হঠাত এমন একটি সুন্দরীর দেখা পেলাম, যা আমাকে রীতিমত বিমুগ্ধ করে দিল।

    সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমার হার্দিক শ্রদ্ধা। নিরন্তর নিরাপদ থাকুন!

  41. খুব ভালো লাগল আপনাদের এই প্রয়াস।বাংলা কবিতা আমাদের মন থেকে মুছে যাচ্ছে।তাই আপনাদের এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই ও সর্বান্তকরনে সমর্থন করি।আমার একটা বিশেষ অনুরোধ কাজি নজরুল ইসলামের ‘রবিহারা’ কবিতাটা যদি আমাকো পাঠান তাহলে বড় উপকৃত হব। ধন্যবাদ।

  42. খুব সুন্দর প্রচেষ্টা।ধন্যবাদ।

    আমাাকে কাজি নজরুল ইসলামের ‘রবিহারা’
    কবিতা একটু সংগ্রহ করে দেবেন।

কেমন লাগলো জানান আমাদের