প্রস্থান – হেলাল হাফিজ


এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো৷
এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটা
খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিয়ো৷
ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত
ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিয়ো৷
কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে
কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে
পত্র দিয়ো, পত্র দিয়ো৷

আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেয়ো, আপত্তি নেই৷
গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে?
আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি,
নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে
পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়?

এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,
এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে।

9 thoughts on “প্রস্থান – হেলাল হাফিজ

  1. পত্র দিলাম ….

    আমিও যে আজ অনেক দূরে, অনেক গুলো বছর পরে
    পত্র দিলাম ।
    বোশেখ মাসের শেষ বিকেলে ক্লান্তিটুকু নিঙরে ফেলে তোমার দেওয়া তালপাখাটা, আজও জানো পাইনি খুঁজে …
    বলতে এটাই পত্র দিলাম ।
    ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত, জানতে না তো..কলেজ থেকে ফেরার পথে ধর্ষিত এক পিশাচ হাতে..
    বলতে এটাই পত্র দিলাম ।
    কোন কথাটা অষ্ট প্রহর কেবল বাজে মনের কানে, কে তা জানে ? হঠাৎ যেদিন গায়ের জোরে সাঙ্গ হল বিয়ের খেলা অচেনা হাত সিঁথির পরে রক্ত ফোঁটায় সিঁদুর ঝরে..সেদিন তুমি অনেক দূরে
    বলতে এটাই পত্র দিলাম ।
    পারলে আমায় ভুলেই থেকো
    অবহেলায় সরিয়ে রেখো আপত্তি নেই… যা গেছে সব আমার গেছে ।
    কার কী তাতে?
    বিনা দোষে শাস্তি মেলে স্বপ্ন গুলো দুমড়ে ফেলে ভালোবাসায় আগুন জ্বেলে আজও বেঁচে আছি।
    কী আসে যায়?
    এক জীবনে আর কতোটা নষ্ট হবো?
    এক মানবী আর কতোটা কষ্ট দেবো?

    শ্রদ্ধেয় হেলাল হাফিজ মহাশয়ের অনুমতি ছাড়াই তার কবিতার প্রত্যুত্তর এর জন্য মার্জনা করবেন।

কেমন লাগলো জানান আমাদের