রবীন্দ্রনাথ – আল মাহমুদ


al_mahmud

এ কেমন অন্ধকার বঙ্গদেশ উত্থান রহিত
নৈশব্দের মন্ত্রে যেন ডালে আর পাখিও বসে না।
নদীগুলো দুঃখময়, নির্পতগ মাটিতে জন্মায়
কেবল ব্যাঙের ছাতা, অন্যকোন শ্যামলতা নেই।

বুঝি না, রবীন্দ্রনাথ কী ভেবে যে বাংলাদেশে ফের
বৃক্ষ হয়ে জন্মাবার অসম্ভব বাসনা রাখতেন।
গাছ নেই নদী নেই অপুষ্পক সময় বইছে
পুনর্জন্ম নেই আর, জন্মের বিরুদ্ধে সবাই

শুনুন, রবীন্দ্রনাথ আপনার সমস্ত কবিতা
আমি যদি পুঁতে রেখে দিনরাত পানি ঢালতে থাকি
নিশ্চিত বিশ্বাস এই, একটিও উদ্ভিদ হবে না
আপনার বাংলাদেশ এ রকম নিষ্ফলা, ঠাকুর!

অবিশ্বস্ত হাওয়া আছে, নেই কোন শব্দের দ্যোতনা,
দু’একটা পাখি শুধু অশত্থের ডালে বসে আজও
সঙ্গীতের ধ্বনি নিয়ে ভয়ে ভয়ে বাক্যালাপ করে;
বৃষ্টিহীন বোশেখের নিঃশব্দ পঁচিশ তারিখে।

18 thoughts on “রবীন্দ্রনাথ – আল মাহমুদ

    • যেখানে আমি নেই
      – মাসুদ রানা

      সূর্যের আলোর মত চারদিক
      ঘিরে রাখতাম তার।
      জোস্না হয়ে কত্ত খেয়াল রেখেছি,
      ইচ্ছে মত জল ঢেলেছি –
      চৈত্রের খরতাপে।
      বসন্তে ঢেলেছি হাজারো ফূল,
      কবিতা – গান।

      সে কেবল হাসত,আর
      তার হাসির উচ্ছ্বাসে কেঁপে যেতো সারাটা বিকেল।
      আমি বৃষ্টির মত গলে পরতাম,
      তার হৃদয় পর্যন্ত।

      এতটা কাল পর,
      আজ সে সুখে থাকতে চায়।
      আরেকটা আকাশে,
      যেখানে আমি নেই।

  1. কবি আল মাহমুদ ভারতে গিয়েছিলেন সত্যি, কিন্তু আমার জানামতে সেখানে এমন কোনো কাজ করেননি, যাতে তাকে “মুক্তিযোদ্ধা” বলা যায়। আমাদের মতো সরাসরি যুদ্ধ না করলেও যারা অন্তত শরণার্থী শিবিরে নানা দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন, এমনকী এম আর আকতার মুকুলের মত যেসব সাংবাদিক স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে অনুষ্ঠান গ্রন্থনা ও প্রচার করেছেন, খবর পড়েছেন, কিংবা যারা শিল্পী হিসেবে উদ্দীপক গান গেয়েছেন তাঁরাও মুক্তিযোদ্ধা। আল মাহমুদের মতাদর্শে বিশ্বাসী অন্য একজন সৈয়দ আলী আহসান প্রকৃত অর্থেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত ”মুক্তিযুদ্ধ উত্ সব কলকাতা”য় গিয়ে অন্নদা শঙ্কর রায়-এর লিখিত বক্তব্য থেকে আমি এই তথ্য জানতে পারি। উত্সবের ব্রুশিয়রে প্রকাশিত সেই লিখিত বক্তব্যে অন্নদা শঙ্কর রায় বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে সৈয়দ আলী আহসান স্থানীয় সংগঠন ও কলকাতায় বসবাসরত বিদেশী কুটনীতিকদের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিন অনুষ্ঠান করে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে বিশ্ববিবেক জাগ্রত করার চেষ্টা করেছেন। আল মাহমুদ কেবল শক্তি, সুনীল ও বুদ্ধদেব বসুর সঙ্গে তাঁর কবিতা নিয়েই ব্যস্ত থেকেছেন। ভারতে যাওয়া না-যাওয়ার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কোনো সম্পর্ক নেই–এ-কথা কবি আল মাহমুদ নিজেও বোঝেন! তবুও অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করার আবার একই সঙ্গে অযোগ্যকে সার্টিফিকেট প্রদানের একটা মানসিকতা তাঁর আছে এ-কথা তাঁর লেখা ”কবির আত্মবিশ্বাস” বইটি পড়ে আমি টের পেয়েছি। এত বড় একজন কবির এসব মানায় কি?

  2. Rabir proti.

    Provater aloe peyechi tmai khunje
    Kache ki dure rwo
    Kache ki dure rwo,
    Amar sarata din kate tomak nia |
    Ami ondhokar thake esachi beria
    Ami ondhokar thake esachi beria,
    Ja jawar chilo ta to gechei chole |
    Provater aloe peyechi tomai khunje;
    Kache ki dure , tar to rakhini hiasan
    Sudhu din ta kate ajkal tomar gaan sune tomake nia
    Tumi jeno boye nia jawar dhara
    Tumi soktir alo
    Tumei provater alo
    Tomar gaaner sudhu ekti protik hisabe noy kono chinhito noy ejno rokto korobir moton rangia uthe tomar gaan tomar sur..
    Je chabi ami ajo kuje paini ajo paini sotti se chabi pawar noy
    Je chabi khule tomk pawoa jai tomak sprsho kora jai
    Sotti se chabi ami ajo paini
    Sudhu peyechi tomar rej
    Uttor thake uttoron
    Rabi thake alo
    Tumi hole provater alo
    Kache ki dure rwo konodini tar to hisab rakhini ||
    Iti tomar anugoto souvik
    Banan vule amk marjona koriben

কেমন লাগলো জানান আমাদের